রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন করবেন। শনিবার বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলন হবে বলে তার উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম জানিয়েছেন।
ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নির্মিতব্য রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে শুরু থেকে বিতর্ক আছে। পরিবেশবাদীদের একাংশ ও বাম দলগুলো বলে আসছে, এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ফলে ধ্বংস হবে সুন্দরবন। তবে সরকারের তরফ থেকে বারবার আশ্বাস দেয়া হচ্ছে, এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে তাতে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না।
এর আগে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে রামপাল প্রকল্পকে দেশবিরোধী আখ্যা দেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, জনবিরোধী এ সিদ্ধান্ত প্রতিহত করার এখনই সময়। এই প্রকল্পে অর্থনীতি ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে বাম দলগুলোর সমর্থনে আন্দোলনরত তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটির ‘চল চল ঢাকা চল’ ও ‘মহাসমাবেশ’ কর্মসূচিতেও সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি।
রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের অর্থনৈতিক সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা আছে, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে খরচ হয়, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে তার চেয়ে ৬২ শতাংশ বেশি খরচ হবে। রামপাল প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার এরইমধ্যে ১৫ বছরের জন্য কর মওকুফ করেছে। যার আর্থিক মূল্য ৯৩ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। বিদ্যুৎ প্রকল্পটিতে কয়লা আনার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে নদী খনন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরে ২ কোটি ৬০ লাখ ডলার ব্যয় করতে হবে।